এই মাসে ছয়জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ট্রাম্পের যেকোনো “অবৈধ আদেশ” প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছেন, যা ট্রাম্প “বিশ্বাসঘাতক” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে ডেমোক্র্যাট সদস্যরা বলেছেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কংগ্রেস সদস্যদের ভয় দেখানো এবং হয়রানি করার জন্য এফবিআই ব্যবহার করছেন। কোনো ধরণের ভয় বা হয়রানি আমাদের সংবিধানকে সম্মান করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না।"

এফবিআই মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, এবং হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

সোমবার মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে তারা ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর এবং প্রাক্তন নভোচারী মার্ক কেলির বিরুদ্ধে কোর্ট-মার্শাল বিবেচনা করছে, যিনি সম্প্রতি প্রকাশিত এক ভিডিওতে সৈন্যদের বেআইনি আদেশ প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছেন। কেলি বলেছেন, তিনি “গুন্ডাদের দ্বারা ভীত বা চুপ করানো হবে না।”

ভিডিওতে উপস্থিত আরেক সিনেটর এলিসা স্লটকিন বলেছেন, তিনি মনে করেন এফবিআই “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পছন্দ না হওয়া ভিডিওর প্রতিক্রিয়ায় আমার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।” তিনি উল্লেখ করেছেন, ভিডিওটি প্রকাশের কারণই ছিল ট্রাম্পের এফবিআইকে আইনপ্রণেতাদের লক্ষ্যবস্তু করার নির্দেশ দেওয়া।

ভিডিওতে কোন নির্দিষ্ট আদেশের উল্লেখ করা হয়নি, তবে ট্রাম্প ন্যাশনাল গার্ডকে মার্কিন বিভিন্ন শহরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন, যা স্থানীয় আপত্তির বিপরীতে ব্যাপক অস্থিরতা দমন করতে ছিল। এছাড়াও, ট্রাম্প ক্যারিবিয়ান ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মাদক চোরাচালানের অভিযানে জাহাজে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যেখানে ৮০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছিল, যা বিশেষজ্ঞদের মতে অবৈধ ছিল।

ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “বিশ্বাসঘাতকরা যারা সৈন্যদের অবাধ্য হতে বলেছে, তাদের জেলে রাখা উচিত।”

এ ঘটনার পর কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটরা প্রেসিডেন্টের এ ধরনের পদক্ষেপকে সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।